কুড়ির নিয়ম একুশেও : একাধিক বিধি মেনেই শারদ উৎসব

1st October 2021 8:09 pm বর্ধমান
কুড়ির নিয়ম একুশেও : একাধিক বিধি মেনেই শারদ উৎসব


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : ২০২০ এর বিধিই লাগু থাকলো ২০২১ এর শারদ উৎসবে । মহামান‍্য উচ্চ আদালতের সমস্ত নির্দেশ মেনেই পুজো উদ‍্যোক্তাদের সমস্ত ধরনের আয়োজন করতে হবে । গতবছরের পুজোতে মন্ডপে প্রতিমা দর্শনের ক্ষেত্রে যা যা বিধি ছিল এবছর ও সেই সমস্ত বিধি নিয়ম লাগু থাকছে । করোনার সংক্রমণের হার নিম্মমুখী হলেও শিশুদের জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস‍্যা জেলায় জেলায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের । উৎসবের দিনগুলিতে মানুষ অনেকটাই বাঁধন ছাড়া । তবু আনন্দের পরে যাতে বিষাদ না চলে আসে তার জন‍্য ই সতর্কতা জারি করা হয়েছে । মাস্ক , হ‍্যান্ড স‍্যানিটাইজার এর ব‍্যবহার তো বাধ‍্যতামূলক থাকছে । ইতিমধ‍্যেই বর্ধমান শহরের পুজো আয়োজকরা আয়োজন পর্ব শুরু করেছেন । যদিও বৃষ্টির জেরে ব‍্যাঘাত ঘটেছে আয়োজনে । বড় পুজো উদ‍্যোক্তারা তারা চিন্তায় রয়েছেন নির্দিস্ট সময়ের মধ‍্যে মন্ডপ সজ্জার কাজ শেষ করা যাবে কি না । তৃতীয়া থেকেই উদ্বোধনের পর্ব শুরু হয়ে যায় শহরে । এবারেও তা থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে । কারন বিধি নিয়ম মেনেই সব আয়োজন করতে হবে । মন্ডপ খোলা মেলা করতে হবে । প্রবেশ ও প্রস্থান পথ ও বড় রাখতে হচ্ছে । যদিও আদালতের নির্দেশে মন্ডপের ভিতরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না । দূর থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে হবে এবারেও । ছোটো মন্ডপ বা বড় মন্ডপ সকলের ক্ষেত্রেই দূর থেকে প্রতিমা দর্শনের ব‍্যবস্থা ক‍রতে হবে । তাই মন্ডপের সামনের অংশের পরিসর খোলা রাখতেই হবে দূর থেকে প্রতিমা দেখার জন‍্য । এছাড়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বড় পুজোর ক্ষেত্রে ২৫ জন ও ছোটো পুজোর ক্ষেত্রে ১২ জন মন্ডপের ভিতরে থাকতে পারবেন অবশ‍্য ই মাস্ক , ফেসশিল্ড , হ‍্যান্ড স‍্যানিটাইজার ব‍্যবহার করে । প্রতিদিন সেই নামের তালিকা প্রকাশ‍্যে রাখতে হবে । এমনকি পুলিশের কাছেও সেই নামের তালিকা জমা দিতে হবে । এছাড়াও বরণ , সিঁদুর খেলা , বিসর্জন এসবে জমায়েত বা ভীড় করা চলবে না । মন্ডপ বা প্রতিমা দর্শনের সময় একজায়গায় দাঁড়িয়ে ভীড় করাও যাবে না । চলতেই চলতেই দর্শন করতে হবে প্রতিমা ।যদিও অক্টোবর মাস গোটাটাই বিধির আওতায় থাকছে বলে ঘোষনা করা হয়েছে । তবে ১০ ই অক্টোবর থেকে ২০ শে অক্টোবর অবধি রাত্রে নাইট কারফিউ এর বিধি নিয়ম থাকছে না । রাত্রেও প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন সকলে । সব মিলিয়ে বিধির মধ‍্যে থেকেই দেবীবরণ ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।